কভার লেটার নিয়ে কিছু টিপসঃ
মার্কেটপ্লেসে যারা কাজ করছে তাদের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা মনে হয় কভার লেটার লেখা নিয়ে।
আর নতুনদের মদ্ধে তো এ নিয়ে অহরহ প্রশ্ন পাচ্ছি।
আসলে নতুন/অভিজ্ঞ কাউকেই দোষ দিয়ে লাভ নেই। কভার লেটার এর আসলে কোন স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম নেই। নিয়ম বলতে গেলে কিভাবে একটা লেখা একজন রিডার মন দিয়ে পরবে বা পরতে আগ্রহ পাবে, সেটা মেইনটেইন করতে পারলেই ভাল কভার লেটার লেখা যায়।
কিছু লেখা আছে আপনি ২ লাইন পরেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, আবার কিছু লেখা পরতে থাকলে পরতেই থাকতে হয়। কভার লেটারএর 'উদ্দেশ্য'ও হতে হবে যেন ক্লায়েন্ট সেটা শেষ পর্যন্ত পরে।
১. পুরো প্রজেক্টের সমস্যা এবং সমধান কিভাবে হবে তার ওভারভিউ সুন্দরমত দেয়া।
২. টাইমফ্রেম দেয়া।
৩. সব কিছুতেই ক্লায়েন্টের মতামতের উপর নির্ভর না করে, একজন ভাল কন্সাল্টেনেটের মত ক্লায়েন্টকে প্রজেক্টের বিভিন্ন ব্যপারে সাজেশন দেয়া বা গাইডলাইন দেয়া। তবে সেটা হতে হবে মার্জিত এবং সাবলীল ভাষায়।
৪. প্রতিটি ধাপ প্রফেশনালভাবে সিরিয়াসলি শেষ করা।
৫. কথা বলায় এবং লেখায় কনফিডেন্স ধরে রাখা (ওভার কনফিডেন্ট হয়ে যাবেন না আবার)।
৬. নিজের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া। একই সাথে নিজের ভুল মতামতকেও স্বীকার করার মানসিকতা থাকতে হবে।
৭. ক্লায়েন্টের দেয়া ইনপুট গুরুত্ব সহকারে শোনা এবং সে ব্যপারে মতামত দেয়া। ক্লায়েন্টের ভুল থাকলে সেটা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়া।
৮. আস্থার একটা জায়গা তৈরি করা যেন, ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিয়ে কিছুটা রিলাক্স করতে পারে। আপনি কাউকে কাজ দিয়ে যদি সেটা নিয়ে টেনশনে থাকতে হয় তাহলে কিন্তু আপনি সেই ওয়ার্কারকে অন্য কোন কাজে আর নিয়োগ দিতে চাইবেন না, অন্যদিকে যাকে কাজ দিয়ে আপনি নিজের অন্য কাজ করতে পারবেন বা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন, তাকে কিন্তু আপনি বারবার কাজের জন্য কল করবেন। মার্কেটপ্লেসেও ব্যপারটা এমনই। ক্লায়েন্ট সেখানে আসেই নিজের কাজ কমাতে এবং সেই সুযোগে নিজের অন্য কাজ করতে।
৯. যতক্ষণ পর্যন্ত ক্লায়েন্ট কোন ব্যপারে ক্লিয়ার হতে না পারবে সেটা ক্লিয়ার করে দেয়ার চেষ্টা করা।
১০. আর প্রাইসিং এর ক্ষেত্রে আগে থেকেই একটু সুন্দরমত চিন্তা করে নিবেন। প্রাইস হুট হাট কমাবেন না বা বাড়াবেন না।
বেস্ট প্র্যাকটিস হলো আপনার সমস্যাটি সমাধানে কত সময় লাগবে সেটা বেড় করার চেষ্টা করা এবং আপনার আওয়ারলি রেট দিয়ে সেটা গুন করে নেয়া।
এগুলোই আমি মোটামুটি মেনে চলার চেষ্টা করি। আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
লিখেছেনঃ কাজী মামুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন